02 July, 2009 2 comments

ফেরা

দূর দিগন্তে গ্রামগুলি জঙ্গলের ফাঁকে ফাঁকে দেখা যায়,
দিগন্ত চিরে লাল মাটির রাস্তা সব চলে গেছে সেদিকেই,
কালো মাছির মত ছোট দেখায় রাখাল বালক আর তার সাথে
ঘরে ফেরা গরু-মোষ-ছাগল। জঙ্গলে তখন পাখিদের কিচির মিচির।
আমি ফিরে আসছিলাম বাড়ী, নতুন গোবরে নিকানো দাওয়া,
জামবাটি ভরা মুড়ি নারকেল, আর দু-পলা সরষের তেল।
শুধু পা ছড়িয়ে খাবো বলে, টানা কুড়ি বছর পর।

 
গ্রামে ঢুকে দেখলাম অন্ধকার, সমস্ত গ্রামে শ্মশানের স্তব্ধতা,
নিকানো উঠান কারা খুঁড়ে দিয়ে গেছে, জামবাটি পড়ে আছে
কাঠের ঘোড়ার খুলে যাওয়া চাকার মতন,
জংগলে মাওবাদী নামে নতুন জানোয়ার এসেছে,
তাই শিকারের আয়োজন। আমি ছুটতে থাকলাম জোরে
দিগন্ত থেকে পিচ রাস্তার দিকে, শহরে যেতে হবে এক্ষুনি
আমার শিকড় সরকার খুঁড়ে দিয়ে গেছে, ঝড় ওঠার আগে
মাটি খুঁজে নিতে হবে ক্রংক্রিটের মেঝেয়। আঃ কি নিরাপদ!
14 May, 2009 1 comments

আমরা দুজন (we are two)

স্বপ্নের জঙ্গলে হারাতাম দুজনে, পাঁকে গেঁথে যেত পা।

চুঁইয়ে পড়তো বৃষ্টির রেশ লাগা পাতা হতে হীরেকুঁচির মত জল,

ভীজে জঙ্গলে তখন সবুজের দাবানল। আমরা দুইটি কিশোর-

কাঁধে হাত রাখা রাখি করে হাঁটতাম আরো গভীরে।

পিছনে নগর জীবন ফেলে রাখা, রাস্তায় দৈত্য দানবের শব।

রূপকথার মত পক্ষীরাজ হয়তো আসবে এখুনি, পিঠে নিয়ে উড়ে যাবে

সূর্যাস্তের পানে, রক্তিম দিগন্তে ছায়া ফেলে পৃথিবীর বুক চিরে

অন্ধকারের দেশে যেখানে নীল নক্ষত্রের মত সাপের মনি

জ্বল জ্বল করবে আর আমরাও দুইটি তারার মত চমকাবো তারই পাশে।

শুধু স্বপ্নের জঙ্গলে পড়ে থাকা দুই জোড়া হাওয়াই চপ্পল,

সবাইকে বলে দেবে দুইটি কিশোর হারিয়েছে সুর্যাস্তের পানে।

0 comments

আমরা দুজন (we are two)

স্বপ্নের জঙ্গলে হারাতাম দুজনে, পাঁকে গেঁথে যেত পা।

চুঁইয়ে পড়তো বৃষ্টির রেশ লাগা পাতা হতে হীরেকুঁচির মত জল,

ভীজে জঙ্গলে তখন সবুজের দাবানল। আমরা দুইটি কিশোর-

কাঁধে হাত রাখা রাখি করে হাঁটতাম আরো গভীরে।

পিছনে নগর জীবন ফেলে রাখা, রাস্তায় দৈত্য দানবের শব।

রূপকথার মত পক্ষীরাজ হয়তো আসবে এখুনি, পিঠে নিয়ে উড়ে যাবে

সূর্যাস্তের পানে, রক্তিম দিগন্তে ছায়া ফেলে পৃথিবীর বুক চিরে

অন্ধকারের দেশে যেখানে নীল নক্ষত্রের মত সাপের মনি

জ্বল জ্বল করবে আর আমরাও দুইটি তারার মত চমকাবো তারই পাশে।

শুধু স্বপ্নের জঙ্গলে পড়ে থাকা দুই জোড়া হাওয়াই চপ্পল,

সবাইকে বলে দেবে দুইটি কিশোর হারিয়েছে সুর্যাস্তের পানে।

23 April, 2009 0 comments

ভালো কিছু করার জন্য চাই ভাল মানসিকতা। এ দেশের নেতাদের সে কথাটা বোঝাবে কে! রাজনীতি ক্রমশ পেশা হয়ে গেলো। দেশের ও দশের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকে আগে নেতার এগিয়ে আসতেন আর এখন পকেট ভরাই হল মূল উদ্দেশ্য। আর জনতা কেবল মাত্র ভোটব্যাঙ্ক।

আরো মাওবাদী আসবে জঙ্গলে

আরো অনেক অকারন রক্তপাত আছে বাকী

মানবতা কোন পথে হারালো

হারাবার আর কিছু আছে নাকি?


 

বঞ্চনা আর অধিকারের অঙ্ক

ভুল হয় ভাগশেষ থাকে অবশিষ্ট

দেশ আরে দেশ নেই

নাগরিক তাকে করে নষ্ট


 

মুখ খানি আর ফিরবেনা

দেয়ালেতে ঠেকে গেছে পিঠ

মাথা খালি শুধু পেট আছে বাকি

বিষবৃক্ষের ফল থেকে তাই ধ্বংসের মীনিকীট।

12 March, 2009 0 comments

সন্ধ্যা আসে

বসন্তের সন্ধ্যা আসে পাহাড় ডিঙিয়ে,

তার পেছনে কালো রাত

নিভিয়ে দিয়ে সমস্ত রঙ।

হোলি কাল হয়ে গেছে পার-

আবীর পড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।

তোমার ঠোঁটের থেকেও লাল সূর্যটা

নিভু নিভু হয়, যেমন উত্তেজনা শেষে

বিছানায় তুমি পড়ে থাকো ঘুমের আবেশে।

জানলায় কাঁচের ওপারে ঘন অন্ধকার,

কাঁচ ভেদ করে ঢুকে পড়ে জোয়ারের জলের মতন।

আলোর সুইচ ভুলে যেতে ইচ্ছে করে,

ডুবে থাকি অন্ধকারে ভুতের মতন।

জোনাকীরা পসরা সাজায় ডালে ডালে,

চাঁদ দেয় চোখে মুখে জল,

কুল কুচো করে জোছনা ছড়াবে সে

ছোট ছোট হীরের মতন।

সন্ধ্যা তারা দিয়ে যাবে টুকি

বাদুড়েরা উড়ে যাবে সাঁই

অলস সন্ধ্যার আগমনে

আর একবার তোমাকে চাই।

ইমনের সুরে আজ দুজনে

বেজে যাবো আবছায়া সন্ধ্যায়,

ফেলে রাখো সব কাজ আজকে

শুধু ভালো করে ডুবে যাক সূর্য।

11 March, 2009 0 comments

চুলোয় যাক

আজ পৃথীবি রনক্ষেত্র কোন বন্দুক তরবারি ছাড়াই।

বাতাসে হাজার যুবকের অসহায় হাসি্মুখের বুক ফাটা কান্না।

ঝরা রক্তের স্রোতে বাতাসের আদ্রতার পরিমান ছাড়াক বিপদ সীমা।

চুলোয় যাক বেবাক রাজনীতি

তবেই কোটি কোটি মানুষ নিশ্চিন্তে মুখে তুলতে পারবে

একমুঠো ক্ষুধার গ্রাস দূর্লভ থালা থেকে।

তবুও তো তাদের হ্রদপিন্ডের কথাটা মুখ অবধি আসতে পারবে-

চুলোয় যাক গনতন্ত্র আর এ ছাইয়ের স্বাধীনতা।


 

19 February, 2009 0 comments

চন্দ্রালোক

তুমি চাইলেই পেতে পারো একটা গোটা চাঁদ

শুধু তোমারই জন্য, আমি বড় জোর দিতে পারি

দু একটা তারা খুব নিষ্প্রভ।

আমার আশায় তুমি বারন্দায় দাঁড়াতে পারো,

আমি কিন্তু ভুলে যেতে পারি, সাইকেলের চাকা

ঘুরে যেতে পারে চোলাইয়ের ঠেকের দিকে।

মাটির ভাঁড়ে বাংলা তোমার ঠোঁটের থেকেও গরম।

তুমি কেন আমার কথা ভাবো- যে ভাবনা ছেড়েছে বাপ-মায়ে।

তার থেকে তুমি চাঁদ ধর, আমি বরঞ্চ মাতাল হয়ে

জোছনা দেখবো কিছুক্ষন।

0 comments

চন্দ্রালোক

তুমি চাইলেই পেতে পারো একটা গোটা চাঁদ

শুধু তোমারই জন্য, আমি বড় জোর দিতে পারি

দু একটা তারা খুব নিষ্প্রভ।

আমার আশায় তুমি বারন্দায় দাঁড়াতে পারো,

আমি কিন্তু ভুলে যেতে পারি, সাইকেলের চাকা

ঘুরে যেতে পারে চোলাইয়ের ঠেকের দিকে।

মাটির ভাঁড়ে বাংলা তোমার ঠোঁটের থেকেও গরম।

তুমি কেন আমার কথা ভাবো- যে ভাবনা ছেড়েছে বাপ-মায়ে।

তার থেকে তুমি চাঁদ ধর, আমি বরঞ্চ মাতাল হয়ে

জোছনা দেখবো কিছুক্ষন।

23 December, 2008 0 comments


 


নীল কালি, লাল কালি সব কালি শেষ

তবু শুন্য রিফিল জমিয়ে রাখা

পুরানো অভ্যেস।

বৌয়ের চুলের গাডার দিয়ে আটকে রাখা সব-

যাবজ্জীবন জেলবন্দী

ভীষন ভাবে নীরব।

মনেও পড়ে মাঝে মাঝে ওরাই একদিন

পেনের ভেতর প্রানের মত

কাটিয়েছিল দিন।

মুখের বলটা ঘুরেছিলো ছড়িয়ে কালি কত

আজকে শেষের যাদুঘরে

পড়ে মমির মত।

আমার মনের স্লেট পাথরের দেয়ালে কত কথা

বেরিয়েছিল, ছড়িয়েছিল

ভরিয়েছিল পাতা,

যাদের জন্য তারাই আজ শুন্য হয়ে গেছে

আজ আর তাদের কোন প্রয়োজন

নেই আমার কাছে।

তবুও রাখি জমিয়ে যত রিফিল; যারা শেষ।

মায়ার জিনিস দয়া বাড়ায়

পুরানো অভ্যেস।


 

©Sujesh

0 comments

Something new

-নতুন কিছু চাই-


 

নরমপন্থী-চরমপন্থী বুড়িয়েই গেছে সব,

পুলিশ ফাঁড়ির ডায়রীতে পোড়ে সংবিধানের শব।

দেশের কাপড়, দেশের রুটি বিস্বাদ লাগে ভাই

বিদেশমাটি ছোঁওয়ার লাগি বিমান ওড়ে তাই।

স্বাধীনতা বুটে থুক পালিশের আজ আর নেই জোর

দেশটা চালায় ভাগ বাটোয়ারী যত পেশাদার চোর।


 

পারো যদি ভাই বল একবার মুখ না বুজে তুমি-

'নতুন করে গড়বো আমরা মোদের জন্মভূমি'

হাতে তোল বান কর খান খান সব করে দাও ধ্বংস

চোর বাটপাড় মন্ত্রীর দল সব হোক নির্বংশ।

13 December, 2008 0 comments

Don’t Cry

আর কেঁদোনা রক্ত ঝরাও বুকে,

টিপির টিপির বৃষ্টি ঝরার মত,

চাইনাগো জল তোমার কালো চোখে

আগুন জ্বলুক তুমিও জ্বলো তত।


 

আজ আগুনের মুখে আঘাত করে

দাও পুড়িয়ে ভদ্র ভাষা যত,

আজ বাঁশীতে বিষের ভাষা ভরে

সকল প্রানে দাও করে দাও ক্ষত।


 

আজ আকাশের বুক ছিঁড়ে দাও জোরে

আজ পাহাড়ের গা টলিয়ে দাও,

আজ সাগরের ঘাড়খানাকে ধরে

কচমচিয়ে মুন্ডু খানা খাও।


 

আজ ঘাতকের কুঠার হাতে তোলা।

আজ জীবনের দাও করে দাও শেষ।

আজ তোমারই দীক্ষা নেওয়ার পালা

আজ তোমারই সব্বর্হারার বেশ।


 

আজ কেঁদোনা রক্ত ঝরাও বুকে

টিপির টিপির বৃষ্টি পড়ার মত

আজ নরকের দাও না তুলে মুখে

প্রানের মেলা যেথায় আছে যত।


 

©Sujesh

12 December, 2008 0 comments

No Sounds

আজকে কোন কথা নয় মন খুব খারাপ

কারন বৌয়ের সাথে ঝগড়া।

আমি তো রক্ত মাংস দিয়ে তৈরী

তাই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব নয়।

10 December, 2008 0 comments

Post081220082

"শ্যামল মাঝি"


 

শ্যামল আবার মাছ ধরে

কাল রাতে তার বউ হয়েছে গত।

শ্যামল আবার নৌকা বায়

কালো রাতের কালপুরুষের মত।

শ্যামল চোখ শুকনো করে রাখে

দু চোখ শুধু ঘুমের ঘোরে লাল,

আজ শ্যামলের বাঁধন হারা প্রান-

ওই শ্যামলের বৌ মরেছে কাল।

আজ শ্যামলের যৌন সুখের সাথী

আর খাবেনা মুখ বুজে দুই লাথি,

তাড়ির গন্ধে কাঁদবেনা আর ভয়ে

খড়ের ঘরের ধর্না পানে চেয়ে।

আজ শ্যামলের সত্যি একা চলা,

মাছের গন্ধে ভরবে না আর প্রান,

আজ শ্যামলের সত্যি বিষাদ ভরা,

হ্রদয় মাঝে মন্দলয়ের গান(ভাটিয়ালী)।

0 comments

Post10122008

যদি এমন হত


 

যদি এমন হত আকাশে তোমাকে দেখতে পেতাম

শুনতে পেতাম তোমার গান, যখন মন খুব খারাপ।

তোমার দাঁড়িতে দখিনা বাতাস, তোমার আলখাল্লা

দুলবে এদিক ওদিক, রাত্রে যদিও ভয় পাবো –

তবুও দেখবো তোমাকে দুটি চক্ষু ভরে।

তোমাকে দেখার সখ আমার অনেকদিন থেকে।

0 comments

Post5

রাজনীতি মানে কি? কেঊ কেঊ বলে রাজত্ব কর, কোন নীতি ছাড়া। কথাটা নিষ্ঠুর হলেও সত্যি। আমরা যাদেরকে বেছে বেছে আমাদের প্রতিনিধি করে দেশ শাষনের জন্য পাঠাই তারা সেখানে পৌঁছে আমাদের উপর ছড়ি ঘোরাতে শুরু করে। এর প্রতিকার নেই। যারা ক্ষমতা লোভী তারা ক্ষমতা পেলে অন্ধ হয়ে যায়। তবে আমরা কি করবো! বাছাবাছি এড়াতে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া ছেড়ে দেবো না প্রতিবাদ করবো। যাই করি না কেন কোন উপায় নেই। তাহলে কিসের স্বাধীনতা কিসের গনতন্ত্র? কি দরকার ছিলো মুক্তিকামী সেই অসাধারন মানুষগুলির বলিদানের, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেলাম কাগুজে স্বাধীনতা কগুজে গনতন্ত্র। যারা তুষ্ট নয় তারা প্রতিবাদ করে। আর প্রতিবাদ করলেই আজ আর সে বিপ্লবী নামে অভিহিত হয় না। তাকে সাজানো হয় সন্ত্রাসবাদী। আর সরকারি সন্ত্রাস সেগুলি হয় বিপক্ষের রাজনীতির সূত্র। সাধারন মানুষ আজ ভারতবর্ষের শাষন ব্যাবস্থাকে ভালোবাসে না ভয় পায় সে সত্যর মুখোমুখি না হওয়াই ভালো। অথচ এই তো আমদের দেশ। এখানে আমি জন্মেছি। আমার অধিকার আছে কিছু বলার কিছু করার। কিন্তু কিছু করার বা বলার উপায় নেই। তবে কি তারাই ঠিক করে যারা গা বাঁচিয়ে চলে। কিন্তু যখন গোটা দেশ ডুববে তখন যতই গা বাঁচাই আমকেউ তো ডুবতে হবে। মাটি কে শক্ত না করলে পায়ের তলার মাটি কখন সরে যাবে কে বলতে পারে। রাজনীতি আজ আর রাষ্ট্রসেবা নয় রাজনীতি আজকে ভোটভিত্তিক এবং কিছু নোংরা লোকের বাসর ঘর। তাই এর থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই উপায় আছে। যারা প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়ালে গ্লানি বোধ করেন না, যাদের মন থেকে মানবিকতা মুছে যায় নি তাদেরকে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহন করতে হবে।


 

©সুজেশ

09 December, 2008 0 comments

Poems 4


 

# অজুহাত #

--------------------------------------------------------------------------------------------------

তবে তাই হোক বলে ভগবান হলেন অন্তর্ধান, কারন ভালোবাসা।

মানুষ যে তারই সৃষ্টি, আর কেউ কি নিজের সৃষ্টিকে ভালো না বেসে পারে।

কিন্তু মানুষের কি কোন্‌ দায় আছে? নেই কারন ভগবান তো আর তার সৃষ্টি নয়।

আমরা সব পেলাম কিন্তু আমাদের দেওয়ার কিছু নেই-আর কত সুযোগ নেব আমরা,

আর কতকাল কাটাবো মূর্খের স্বর্গে আর কতকাল নিজেকে ভোলাবো মেকী অজুহাতে।

যাক যা হবে হোক , যেদিন সময় পাবো নিজেকে আচ্ছা করে গালাগালি দিয়ে

ঝাল ঝাড়বো নিজেকে।

*************************************************************

08 December, 2008 0 comments

POEM-3

রাত্রি


 

যখন আবার রাত্রি এলো ফিরে, মাথায় দিয়ে ঘোমটা আড়াল করে

চোখের দেখা দেখবো বলে আমি ছিলাম জেগে সারা রাত্রির ধরে।

আকাশ থেকে পড়লো কত তারা হিমের মত সুক্ষ কনা হয়ে

সবুজ বনে আঁধার মাখা জল কতই গেলো নদীর মাঝে বয়ে।

পাখির ডানায় আবছা আলো মাখা, জোনাই জলে গাছের ডালে ডালে

ধাক্কা খেলো পাগলা এলো হাওয়া অন্ধকারে জ়েলে নৌকার পালে।

দেখছি আমি সকল ঘটে যাওয়া অন্ধকারে মৌনী বাবার মত-

রাত্রি আমার মনের গহন দেশে, রাত্রি আমার হ্রদয় রানীর মত।


 

-সুজেশ

07 December, 2008 0 comments

Poems2

দোষারোপ


এখানে চাঁদের আলো কম, এখানে জীবনের প্রাচুর্যও কম।
এখানে কম সবকিছুই - শুধু বেশী বেশী বেঁচে থাকার ইচ্ছা।
কারা আমাদের বাঁচিয়ে রাখে, কারা আমাদের দেয় অন্ন-জল।
কাদের কৃপাবৃষ্টিতে আমদের আশার বীজের অঙ্কুরোদগম হয়-
আমরা এসব ভাবিনি কোনদিন, ভাবার কিই বা প্রয়োজন!
যারা ভাবে তারা অন্ধকারে থাকে- আলোতে তারা আলুথালু!
আকাশ থেকে গম বৃষ্টি হলেও যারা রুটি খায় না তাদের কি লাভ।
আমরা ও আমদের আখাঙ্খা গুলি নিয়েই আমরা বেশ আছি-
ঘটনার ঘনঘটা যাদের তারা সখের মানুষ।
আমরা মজুদর শ্রেনী, কালকের কথা না ভাবলেও চলবে আমাদের।

0 comments

Poem1

আমরা মানুষ
ক্লান্ত পাখির ডানায় ভর করে সময় চলে যায় চোখের আড়ালে।
সেখানে নিঃশব্দে ডানায় ঠোঁট গুঁজে সময় ঘুমোয় - আমি তখন স্বপ্নিল।
দু-চোখে স্বপ্ন'রা ভীড় করে থাকে, গায়ে নিয়ে বাস্তবের গর্ভজলের গন্ধ।
আমার হাতে হিসাবযন্ত্র- বোতাম টিপে টিপে দেখি আমার ভাঁড়ারে কি কি এলো;
কি কি নিয়ে আমাকে স্বর্গে যেতে হবে, হিসেব দিতে হবে।
সমস্ত যোগফল যেখানে শূন্য সেখানেও আমারা সংখ্যার হিসেব করি;
আমরা ভুল করি তাই আমরা মানুষ, আমরা ভুল করে শোধরানোর চেষ্টা করি না
আমরা তাই মানুষ।
 
;